Tuesday, 13 May 2014

ভূত ও শিয়ালের সংগে সজিবের মাছ ধরা


গতকাল রাতের, অবিরাম বর্ষনে চারদিক পানিতে থৈথৈ করছে। এসময়টাতে এরকম বৃষ্টি সচরাচর হয় না। ভাদ্র শেষ হয়ে আশ্বিনের সবে শুরু। ধানক্ষেত গুলো পানিতে ডুবো ডুবো। নিচু জমির ধানক্ষেত গুলো তলিয়ে গেছে। রাস্তা গুলো শুধু জেগে আছে। এরকম বৃষ্টির পর রাত থেকে সারা গ্রামে মাছ ধরার ধুম পড়ে গেছে। সকালে চারদিক পানি আর পানি এবং মানুষের মাছ ধরার ব্যাস্ততা দেখে সজিবের কাছে তা মাছ ধরার উৎসব মনে হল। ভোর থেকে গ্রামের সবাই মাছ ধরার নানা যন্ত্রপাতি নিয়ে মাছ ধরতে নেমে পড়েছে।
সজিবের বাবাও মাছ ধরার জন্য বাড়ি্র পাশেই খালে পানির প্রবাহ আটকিয়ে মাছ ধরতে বাঁশের তৈরী চালুন (ত্রিভুজাকৃতির মাছ ধরার যন্ত্র বিশেষ) পেতেছে। এটাতে পানির সাথে মাছ এসে পড়ছে। ছিদ্র থাকায় পানি পড়ে গেলেও মাছ থেকে যায় এই যন্ত্রে। পানির সাথে ঝাঁকে ঝাঁকে মাছ এসে পড়ছে;মাঝে মাঝে কৈ, মাগুর শিং এসব মাছও পড়ছে দু-একটা। বেশির ভাগই ছোট মাছ পুটি, টেংরা, মলা এগুলো পাওয়া যাচ্ছে। থেমে থেমে মাছ পড়ছে। মাছ যন্ত্রে পড়েই কেমন লাফা লাফি করে, না দেখলে তা বোঝানো যাবেনা সজিব মনে মনে বলে। তার খুব ভালো লাগে মাছ ধরতে এবং মাছের এ দৃশ্য দেখতে। এভাবেই সারাদিন কেটে গেল সজিবের।
সাজিব সবার কাছে শুনেছে রাত না হওয়া পর্যন্ত ভালো মাছ (কৈ, শিং, মাগুর এ জাতীয়) মাছ পাওয়া যাবেনা। শিং ,মাগুর,কৈ, শৌল ও বড় মাছ রাতের বেলাই ধরা পড়ে। কিন্তু রাতে তো সজিবের পড়াশুনা আছে। তা ছাড়া রাতে বাবা তাকে তো যেতে দিবেনা মাছ ধরতে। রাতে পড়তে বসেও সজিবের পড়াশুনআয় মন নেই। কী ভাবে রাতে মাছ ধরতে যাবে তাই তার চিন্তার বিষয়। মার কাছে জানতে পারলো কাজের লোক রহিমকে নিয়ে সজিবের বাবা রাতে মাছ ধরতে গেছে। সে মাকে বললো" মা আমিও মাছ ধরতে যাবো'। মা বললো' তোর পড়াশুনা আছে রাতে মাছ ধরতে যাওয়া যাবেনা। তোর বাবা রাগ করবে'। আরো জানালো-তার বাবা রাত ৯ টা পর্যন্ত থেকেই চলে আসবে।
সজিবের মাথায় নতুন আইডিয়া চলে আসলো। সে চিন্তা করলো-তার বাবা মাছ ধরে চলে আসার পর যখন শুয়ে পড়বে, তখনই সে যাবে। ভালোই হলো।
সজিবের বাড়ি ময়মনসিংহ জেলায়। ব্রহ্মপুত্র নদের উত্তরে ৬-৭ কিলোমিটার দূরের এক গ্রামে। গ্রামের নাম বাঘাডোবা। গ্রামে দুটি বিল আছে। তাদের বাড়ির দক্ষিণে একটি,আর একটি পশ্চিমে। পশ্চিমের বিলের পাড়েই সজিবদেব বাড়ি। দেশি মাছ প্রায় বিলুপ্তির পথে হলেও তাদের গ্রামটি এখনো মাছের জন্য বিখ্যাত। প্রতি বছরই বর্ষা মৌসুমে মাছ ধরা সাজিবের খুব ভালো লাগে । এটা তার সখ। এবার বর্ষা মৌসুম শেষে ভারী বৃষ্টিপাত হওয়ায় প্রচুর মাছ ধরা পড়ছে । বর্ষায় মাছ এক জায়গা হতে আরেক জায়গায় ঘুরে বেড়ায়। তবে শেষ বর্ষায় মাছ নাকি তার স্থায়ী আবাসস্থল বেছে নেয় । তাই মাছ আগে থেকেই বুঝতে পাড়ে শেষ বর্ষা বা শেষ ভারী বর্ষন কোনটি । এজন্যই মৌসুম শেষে ভারী বর্ষন হলে এক বিলের মাছ দল বেঁধে আরেক বিলে যাওয়ার জন্য জন্য ব্যাকুল হয়ে পড়ে।
সজিবদের গ্রামে সবার বাড়িতে আজ মাছ আর মাছ । আত্বীয় স্বজনদের বাড়িতেও মাছ পাঠানো হয়েছে। অতিরিক্ত মাছ কেটে শুটকি দেওয়া হয়েছে । এ দৃশ্য আজ গ্রামের প্রায় সব বাড়িতে।
রাত দশটার দিকে সজিব বুঝতে পারে তার বাবা শুয়ে পড়েছে । সে আস্তে আস্তে তার ঘর হতে বের হয়। তাদের কাজের লোক রহিমকে ডাকে উঠার জন্য। কিন্তু কোন সাড়া নেই। ঘুমিয়ে পড়েছে। জোড়ে ডাকাও যাচ্ছে না। শেষে হারিকেন আর বাঁশের তৈরী মাছ রাখার পাত্র নিয়ে একাই রওনা দেয় সজিব। এসে দেখে অনেক মাছ পড়ে আছে, লাফা লাফি করছে তাদের মাছ ধরার যন্ত্রে। তাড়াতাড়ি এগুলো উঠিয়ে নিয়ে সজিব পাশে বসে পড়লো। একটু পর পর পানির সাথে মাছ এসে পড়ছে আর সজিব তা সাথে সাথেই ধরছে।মাছ ধরার আনন্দই আলাদা । তার কোন ভয়ও করছে না। মনে মনে বলে, কিসের ভয় আমি এখন ক্লাশ নাইনে পড়ি। আমি এখনো ছোট নাকি। চারদিকে অন্ধকার হলেও; আরো যারা মাছ ধরছে আশে পাশে তাদের বাতির অল্প অল্প আলো দেখা যাচ্ছে।
বেশিক্ষণ বিরতি দিয়ে মাছ এসে পড়লে তার কিছুটা ভয় ভয় লাগে। রাস্তার পাশেই মাছ ধরার ব্যবস্থা।কিন্তু লোকজনের চলাচল নেই। হঠাৎ রাস্তায় চোখ পড়তেই দেখে কিছু একটা যেন তার দিকে আসছে। সজিবের ভয় ভয় দৃষ্টি সে দিকে। অন্ধকার রাত তাই ভালো করে বুঝাও যাচ্ছে না।কাছা কাছি আসতেই দেখে শিয়াল। কিন্তু শিয়াল সোজ চলে না গিয়ে তার কাছা কাছি এসে দাঁড়ালো। এখন আবার তার ভয় করতে শুরু হলো। শিয়াল মানুষ দেখলে ভয়ে দৌঁড়ে পালায়।কিন্তু এতো দেখা যায় উল্টো। সজিব ভালো করে আবারও দেখলো। নিশ্চিত হলো এটা শিয়াল। সজিব ভাবলো শিয়াল তাকে একা পেয়ে হয়ত ভয় পাচ্ছে না। শিয়াল যদি তাকে এখন কামড়ে দেয়-সে কী করবে। এখন মাছ ধরার চেয়ে শিয়ালের দিকে তাকিয়ে থাকতে হচ্ছে তাকে। কারণ অন্য দিকে তাকালেই যদি তার দিকে লাফ দিয়ে কামড়ে দেয়। এখন কীভাবে শিয়াল তাড়ানো যায় এটাই তার বড় চিন্তা । মাছ চালুনে পড়ে লাফিয়ে পানিতে পড়ছে,উজিয়ে চলে যাচ্ছে তবুও সজিবের সেদিকে খেয়াল নেই।
সজিব পানি ছিটিয়ে দিলো শিয়ালের দিকে কাজ-হলো না । এবার কাঁদা ছুঁড়ে-দিল। শিয়াল বিরক্ত হয়ে চলে গেল। সজিব হাঁফ ছেড়ে বাঁচলো । তাড়াতাড়ি জমে থাকা মাছ গুলো ধরে নিল।
সজিবের কেমন যেন ভয় ভয় লাগতে থাকে , শেয়াল চলে যাওয়ার পরও। একটু পর দেখে আবার সেই শেয়াল হাজির । এসে রাস্তায় তার কাছা কাছি দাঁড়িয়ে আছে । সজিব এবার নিশ্চিত হলো বেটা শিয়াল তাকে ভয় পচ্ছে না । সজিব বিড় বিড় করে বললো-ঃ আমাকে ছোট এবং একা পেয়েছো ? শিয়ালকে এজন্যই ধূর্ত প্রাণি বলা হয়-মনে মনে বললো সে। এবারও সজিব শিয়ালের দিকে পানি ছিটিয়ে দিল। নাহ্-কোন কাজ হলো না। আবার কাদা ছুঁড়ে দিল, তাতেও কাজ হলোনা। শিয়াল যাচ্ছে না ।
এখন সে ভয় পেতে শুরু করলো। সজিবের মনে হলো-তবে কী এটা কোন শিয়াল নয় ? শুনেছে ভূত নাকি বিড়াল,কুকুর,শিয়াল সেজেও রাতে চলা ফেরা করে। একথা মনে হতেই তার গায়ের লোম ভয়ে খাড়া হয়ে গেল। দো,দরুদ পড়তে থাকলো । বুকে ফু দিল দোআ পড়ে। হঠাৎ মনে পড়লো-ভূত তো আগুন দেখলে ভয় পায় । তাই পরীক্ষা করে দেখা যাক। সে ম্যাচের শলা দিয়ে আগুন ধরিয়ে সেদিকে ছুঁড়তে থাকলো । ফলাফল একই । শিয়াল যাচ্ছেনা । যাক তাহলে এটা নিশ্চিত এটা ভূত নয় শিয়াল । ভূত নয় বুঝতে পেরে সজিব যেন শিয়ালকে পেয়ে খুশি হল। কিন্ত শিয়াল এরকম করছে কেন ? যাচ্ছে না কেন ?হঠাৎ মনে হল মাছ দিয়ে দেখিতো কী করে । সজিব শিয়ালের দিকে মাছ ছুঁড়ে দিল। শেয়াল লাফ দিয়ে ধরে তা খেয়ে ফেললো । তার এবার আর বুঝতে বাকি রইল না শিয়াল মাছ কাঁকড়া এসব খাওয়ার জন্য এসেছে। সে শিয়ালকে আরো কয়েকটি মাছ দিল। শিয়াল মাছ পেয়ে তার আরো কাছা কাছি চলে আসলো। মনে হলো-সজিবের কাছে সে মাছ চায়। যেন সজিবের পোষা শিয়াল ! সজিবের বাবা রাতে মাছ ধরে চলে যাওয়ার পর ফাঁকা পেয়ে শিয়াল মনে হয় এখানে মাছ,কাঁকড়া এসব খেয়েছিল। এজন্য তার লোভ হয়ে গেছে।সজিব চলে আসায় শিয়ালের অসুবিধা হচ্ছিল। তাই শিয়াল ঘুরে ফিরে এখানে আসছে।
মাঝে মাঝে মাছের সাথে কাঁকড়া ধরা পরলে সজিব শিয়ালকে দিচ্ছে। এভাবেই চললো কিছুক্ষণ। কিন্তু হঠাৎ কোথা থেকে এক কুকুর এসে ঘেউ ঘেউ করতেই শিয়াল ভয়ে পালালো । শিয়ালকে কুকুর তাড়া করে অন্য কোথাও নিয়ে গেছে হয়তঃ ।
চারদিকে নিস্তব্দতা নেমে এলো । পানির শু-শু-শু শব্দ ছাড়া আর কোন কিছু নেই। রাতও মনে হয় অনেক হয়েছে। আবার সজিবের মনে ভয় লাগা শুরু হলো। নিস্তব্দতায় হয়তঃ ভয় ভয় করছে। কিন্ত না এবার সত্যি তার মনে ভিন্ন ভয় পেয়ে বসলো।যেখানে বসে মাছ ধরছে তার উত্তর পাশের বাড়ির জংগলে হঠাৎ কিসের যেন আলো জ্বলছে আর নিভছে। এ আলো দেখে সজিবের মনে হলো-ভূতেরা রাতের বেলায় পোকা-মাকড় খাওয়ার জন্য নাকি আলো জ্বালিয়ে মুখ হাঁ করে বসে থাকে।পোকা-মাকড় গুলো ঢুকলে যখন মুখ বন্ধ করে তা খায়  তখন আলো দেখা যায় না। এসব কথা সে বহু শুনেছে। সজিব গ্রামের ছেলে হলেও তার বয়সে সে কোনদিন রাতে একা বের হয়নি। জীবনে প্রথম মাছ ধরার সখের নেশায় আজ সে ভয়ানক সব বিপদের মুখোমুখি। কী করবে এবার-ভেবে পায়না সজিব।ভয়ে শরীর ঘেমে যাচ্ছে। পানি পিপাসাও পেয়েছে খুব। সোজা মাছ রেখে বাড়িতে এক দৌঁড় দিবে-এখন সে অবস্থাও নেই। কারণ ভূত-তো মুহুর্তেই তার বাড়ি যাওয়ার রাস্তায় চলে এসেছে। এখন তো সে আলো রাস্তায় দেখা যাচ্ছে। সজিব ভেবে পাচ্ছে না কী করবে।ম্যাচের কাঠি দিয়ে আবারও আগুন ধরাতে লাগলো। রডের ( লোহার) একটি টুকরো ছিল লাঠি হিসেবে তা হাতে নিল। কারণ ভূত লোহা আর আগুন কারো সংগে থাকলে নাকি তার কাছে আসেনা ।
সজিব ভাবলো ভূতকেও না হয় শিয়ালের মতো মাছ খেতে দিবে। দেখা যাক পরে কী করে । ভয় পেলে সজিব গান গাওয়ার চেষ্টা করে ভয় কে তাড়াতো ।কিন্তু সে কথা মনে হলেও গলা থেকে গান বের হলো না।বরং ভয়ে গলা শুকিয়ে কাঠ। এখন তো ভূতের আলোও দেখা যাচ্ছে না। ভূত কোন পর্যন্ত এসেছে তা বুঝবারও উপায় নেই। এটা আরো বিপদজনক। যদি হঠাৎ পেছন দিক দিয়ে এসে ঘার মটকে দেয়।তা হলে? এসব প্রশ্ন ও জবাব নিজের মনে নিজেই দিয়ে যাচ্ছে-সজিব । এবার দেখা গেল ভূত মুখে আলো জ্বালিয়ে রাস্তা ধরেই আসছে। সজিবের সারা শরীর ভয়ে ঘেমে যেতে থাকলো। ধীরে ধীরে ভয়ে তার শরীর যেন অবস হয়ে আসছে। তবুও সজিব মনোবল শক্ত করে লোহার রড হাতে নিয়ে প্রস্তুত। আলোটা কাছা কাছি আসতেই সজিব যেন নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছিল না। ভয়ে অজ্ঞআন হওয়ার মতো ছিল তার অবস্থা। আর এখন দেখে এ যে জোনাকি পোকা । যাক এবার বড় বিপদ হতে রক্ষা পেলাম-বলে নিজের বুকে থু থু করলো সজিব।
'আর মাছ ধরতে হবে না। বেঁচে গেছি'। সত্যিই ভূত হলে আজ কী উপায় হত-সে ভেবে পাচ্ছে না। তাড়াতাড়ি ওঠে বাড়ি যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে সজিব। হঠাৎ শব্দে কান খাড়া হয়ে গেল তার।ভয় পেয়ে তাকিয়ে দেখে পানি থেকে লাফ দিয়ে মাছ গিয়ে পড়েছে রাস্তায়।বড় কোন মাছ হবে। তাই হারিকেন রাস্তাঅয় রেখে মাছটাকে ধরতে গেল। কোথা থেকে সেই শিয়াল আবার তার সংগে মাছ ধরার জন্য যেন কাড়াকাড়ি শুরু করল। শৌল মাছ তাই লাফাচ্ছে। ধরা গেল না। আবার লাফ দিয়ে পানিতে গিয়ে পড়লো। শিয়ালের জন্য এত বড় শৌল মাছটা তার ধরা হলো না। তাই বলে এর জন্য কোন আফসোস নেই। তবে উভয়েই উভয়ের প্রতি যেন বিরক্ত হলো।
সজিব আর এক মূহুর্ত দেরী না করে সোজা বাড়ি চলে গেল।মাছগুলো বারান্দায় বড় পাতিলে পানি দিয়ে জিইয়ে রেখে ঘুমাতে গেল।সকালে মায়ের ডাকাডাকিতে ঘুম ভাঙলো। সজিবের মা ভোরে ঘরের বারান্দায় এত মাছ দেখে অবাক।এত মাছ এলো কোথ্থেকে!সজিবের বাবাও অবাক হল। রহিমও জানে না। তাহলে এতো মাছ আসলো কোথ্থেকে! শুধু সজিব কে জিজ্ঞাসার বাকি। সজিবের মা নিজে নিজেই ভাবে সজিব তো আরো বলতে পারবে না
সজিব চোখ কচলে মাকে বললোঃ 'কী হয়েছে মা-এতো ডাকাডাকি করছো কেন? মা বললো-  দেখ কী ভূতুরে ঘটনা। কোথ্থেকে আমাদের বারান্দায় এতো মাছ.......! এটুকু বলে মা রহিমকে বললো-'এগুলো মাছ খাওয়া যাবেনা । তাড়াতাড়ি এগুলো পুকুরে ফেলে দিয়ে আয়'। সজিব সংগে সংগে বলে ওঠলো না-মা এগুলো ভূতুরে মাছ নয়। এগুলো আমি ধরেছি।
শুনে তার মা খুশী হবে না বকা দিবে বুঝে ওঠতে পারলোনা। বললো আর কোন দিন রাতে একা মাছ ধরতে যাবে না।রাতে বড় মানুষও একা মাছ ধরতে যায় না-এটুকু বলতেই সজিব মনে মনে মার কথার সাথে সুর মিলিয়ে ,বললো ঠিক বলেছ মা। আর সশব্দে শুধু বললো-সত্যি মা, 'আমি আর একা কোনদিন রাতে মাছ ধরতে যাবো না'

No comments:

Post a Comment